অভিযান চলে, জমি ভরাটও চলে

রাউজান

রাউজান প্রতিনিধি | শনিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে কৃষি জমি ভরাট ও অবকাঠামো নির্মাণ থেমে নেই। প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এখনো বিভিন্ন স্থানে চলছে জমি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ কাজ। স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, সরকার দলীয় পরিচয়ধারী কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় এসব স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। অথচ কৃষি জমি ভরাট ও সেখান থেকে মাটি কাটার বিরুদ্ধে কঠোর হতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা রয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দেয়া এই নির্দেশনা যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার তাগাদা দিয়ে আসছেন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সরকারের নির্দেশনার আলোকে উপজেলা প্রশাসন গত দুই মাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে কৃষিজমিতে বাড়িঘর ও দোকানসহ নানা স্থাপনার তৈরি চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করেছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের তৎপরতা সত্ত্বেও জমি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ চলছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্বে খণ্ড খণ্ড জমি ভরাট করা হচ্ছে সর্তাখাল থেকে তোলা মাটি দিয়ে। এই খাল থেকে মাটি উঠিয়ে চুক্তিতে বিভিন্ন স্থানে জমি ভরাট করছেন রলে অভিযোগ রয়েছে গহিরা এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, তিনি ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা। কৃষি জমিতে মাটি ভরাট করার পাশাপাশি গহিরা, হলদিয়া, নোয়াপাড়া, পশ্চিম গুজরা, পূর্বগুজরাসহ বিভিন্নস্থানে দেখা যায় জমির চারিদিকে ইটের গাঁথুনি দিয়ে রাখা হচ্ছে। ওসব জমিতে রাতের আঁধারে চলছে মাটি ও বালু ফেলার কাজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার দলীয় নেতার ব্যানারে কতিপয় লোক জমি ভরাট করে দেয়ার চুক্তিতে ভূমি মালিকদের একাজে উৎসাহিত করছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছি। জরিমানা করছি। এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্ধারিত দামে ভোজ্যতেলের বিক্রি নিশ্চিত করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কলেজ ওরসার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ৫ মার্চ