অভিযানেও থামছে না ফসলি জমির মাটি কাটা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৪ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় জমির টপ সয়েল কাটা বন্ধ করতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন অনেক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ডসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের অভিযানের পরও থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দুই থেকে তিন ফসলি উর্বর জমির টপসয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) খননযন্ত্র দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আর্থিকভাবে সাময়িকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় অনেক কৃষক তাদের জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সম্প্রতি উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের শিয়ালবুক্কা এলাকায় কৃষি জমির টপসয়েল কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অপরাধে ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই অভিযানের পরও একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ঠান্ডাছটি চা বাগানের কাছে দুইধ্‌েধ বিল এলাকায় কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়েও এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে কৃষি জমি থেকে কয়েকটি এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এই মাটি কাটা কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম জানাতে পারেননি তিনি। একই অবস্থা দেখা গেছে পারুয়া ইউনিয়নেও। ইউনিয়নটির বশাকপাড়া এলাকায় সড়কের পাশেই কৃষি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। রাতের আঁধারেই এই মাটি কাটা চলে বলে জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নানা স্থাপনার কারণে আবাদি জমির পরিমাণ কমে আসছে। তার উপর এখন যেভাবে টপসয়েল কাটার হিড়িক চলছে তাতে উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাঙ্গুনিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, জমির টপসয়েল কেটে নেওয়ার অপরাধে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ীভাবে কৃষি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেসমিনের মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তথ্য
পরবর্তী নিবন্ধহারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ১০ বছর পর ফিরে পেল পরিবার