অভিভাবকদের স্কুলের সামনে জটলা না করার আহ্বান

| রবিবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

স্কুলের সামনে জটলা না করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, কোভিড মহামারি সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসবে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে আমরা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবো। গত দুই দিন ধরে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে পাঠদানের উপযোগী হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্টভাবে পরিপত্র জারি করেছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ী মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করবে।
গতকাল শনিবার নগরীর ডিসি হিল সংলগ্ন সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও জামালখানস্থ ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীষুষ দত্ত, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার এন এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, কোতোয়ালী থানা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-উর রশীদ, সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (কোতোয়ালী) লিপি গোপ, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা আক্তার, সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুন্নেছা প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত দেড় বছর বন্ধ ছিল। যেহেতু সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে সে জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করবে। তারই আলোকে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দিয়ে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ও আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার পাশাপাশি স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে স্কুলগুলোর শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীরা স্কুলে এসে আনুষঙ্গিক কাজগুলো করেছে। স্কুল খোলার ঘোষণা পাওয়ার পর মহানগরের ২১৫টিসহ জেলার মোট ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে গৃহায়ণের দেড় কোটি টাকার প্লট নিয়ে জালিয়াতি
পরবর্তী নিবন্ধসংক্রমণ বাড়লে স্কুল আবারও বন্ধ : শিক্ষামন্ত্রী