অভিনেত্রী ও গায়িকা মারিয়ান ফেইথফুলের জীবনাবসান

| শনিবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ষাটের দশকের সাড়া তোলা ‘অ্যা টিয়ার্স গো বাই’ গানের ব্রিটিশ গায়িকা ও অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল মারা গেছেন। এই শিল্পীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবিসি লিখেছে ফেইথফুলের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর, তিনি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ফেইথফুলের মৃত্যুর জানিয়ে তার মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “হৃদয়ে গভীর ব্যথা নিয়ে জানাচ্ছি লন্ডনে বৃহস্পতিবার মারিয়ান ফেইথফুল মারা গেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা সে সময় তাকে ঘিরে ছিল। তার মৃত্যু হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।” ফেইথফুলের পরিবার এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা তাকে মিস করবেন বলেও জানিয়েছেন তার মুখপাত্র। খবর বিডিনিউজের।

মারণব্যাধি ক্যান্সার ছাড়াও ফেইথফুল অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে কিছু রোগে ভুগছিলেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে টানা ২২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সে সময় চিকিৎসকরা এই গায়িকার বেঁচে থাকার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময়ে সুস্থ হয়ে পরের বছর ২০২১ সালে তার ২১তম অ্যালবাম ‘সি ওয়াকস ইন বিউটি’ প্রকাশ করেন ফেইথফুল। যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেডে ১৯৪৬ সালের ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া গায়িকার গানের জীবন শুরু ১৯৬৪ সালে। সংগীত জীবনের শুরুতে ফেইথফুলকে পাওয়া যায় কফি হাউজের ফোক গায়িকা হিসাবে। সেখান থেকেই তাকে গানের মূল জগতে নিয়ে আসেন প্রখ্যাত ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনের ম্যানেজার অ্যান্ড্রু লুং ওল্ডহ্যাম। ‘অ্যা টিয়ার্স গো বাই’ গানটি ফেইথফুলের ক্যারিয়ারের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান। রোলিং স্টোনের দুই সদস্য মিক জ্যাগার ও কেই থ রিচার্ডসেরই লেখা এই গানটি ১৯৬৪ সালে মুক্তির পর যুক্তরাজ্যের টপ চার্টের শীর্ষ ১০ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল। এরপর ফেইথফুল ধীরে ধীরে পরিচিত পান তার সুরেলা কণ্ঠস্বরের জন্য। এই শিল্পীর আরো দুইটি দআলোচিত গান হল ‘কাম অ্যান্ড স্টে উইথম মি’ ও ‘দ্য লিটল বার্ড অ্যান্ড সামার নাইটস’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অভিনয় আমার স্বপ্ন ছিল : নীহা
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ালো জান্তা সরকার