প্রায় বিশ ভরি ওজনের দুইটি স্বর্ণের বার গলিয়ে পুরোপুরি তার (ক্যাবল) বানিয়ে ফেলা হয়। সেই তার দিয়ে ব্যাগের ভেতর সেলাই করে নিয়ে আসা হয় দেশে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের অতি অভিনব এই পন্থা ঠেকিয়ে দিয়েছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে উক্ত স্বর্ণচালান আটক করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি১৪৮ ফ্লাইটের যাত্রী মোহাম্মদ জাফর আলম ‘অভিনব’ এই পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি। এছাড়া দুবাই থেকে আসা তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৩৩৪ কার্টন সিগারেট আটক করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর এনএসআই টিম ও কাস্টমস কর্মকর্তারা মোহাম্মদ জাফর আলমকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি স্বর্ণ বা অবৈধ কিছু নেই বলে দাবি করেন। প্রাথমিক তল্লাশিতেও কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর তার ব্যাগটি খালি করে স্ক্যানিং মেশিনে ঢোকানো হলে ধাতব পদার্থ থাকার সংকেত আসে। এরপর ব্যাগ কেটে সুতার মতো করে গলানো স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণকার ডেকে এনে পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, ক্যাবল বা তার আকৃতিতে নিয়ে আসা দুইটি স্বর্ণের বারের ওজন ২৩৪ গ্রাম। একজন যাত্রী একটি স্বর্ণের বার আনলে বিমানবন্দরে ঘোষণা দিলে ২০ হাজার ১২৩ টাকা শুল্ক কর দিতে হয়। দুইটি স্বর্ণের বারে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এখন জরিমানাসহ শুল্কপরিশোধ করলে ওই যাত্রী স্বর্ণের বার দুইটি নিয়ে যেতে পারবেন বলে কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা জানান।
সিগারেট জব্দ
শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড-৫৮৯ ফ্লাইটের যাত্রী ফটিকছড়ির মোহাম্মদ সাহেদুল আলমের কাছ থেকে ১২৪ কার্টন, মো. বখতেয়ার উদ্দিনের কাছ থেকে ৯০ কার্টন, হাটহাজারীর মিয়া আলমের কাছ থেকে ১২০ কার্টন সিগারেট জব্ধ করে এনএসআই টিম। বিমান বন্দর এনএসআই টিম চোরাচালান প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।