৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (কেমিক্যাল) মো. আবদুল্লাহ রশিদ ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন তাদেরকে আসামি করে দুটি মামলা করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুই মামলাতেই আবদুল্লাহ রশিদকে আসামি করা হয়েছে। আর তার স্ত্রী শামিমাকে এক মামলায় আসামি করা হয়।’ খবর বিডিনিউজের।
একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, আবদুল্লাহ রশিদ দুদকে দাখিল করা তার সম্পদ বিবরণীতে ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া ৯ লাখ তিন হাজার ৯২৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে।
দুদকের অনুসন্ধানে ওই অবৈধ সম্পদ ছাড়াও আবদুল্লাহ রশিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৯টি এফডিআর ও আটটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ টাকা জমা থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭ কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৫২ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে আবদুল্লাহ রশিদ ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তারকে আসামি করে করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শামিমা ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৫১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করাসহ তার মোট ১২ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ১১৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে অনুসন্ধানে। এছাড়া সম্পদ বিবরণীর বাইরে তার নামে তিন ব্যাংকে এফডিআর ও সঞ্চয়ী হিসাবে তিন কোটি ৯০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬ টাকা রয়েছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, এসব টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি শামিমা। মামলায় বলা হয়, ‘স্ত্রীর নামে এতো সম্পদ অর্জনে আবদুল্লাহ রশীদ সরাসরি সহযোগিতা করেছেন।’ এ জন্য এই মামলায় স্ত্রীর পাশাপাশি তাকেও আসামি করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তা প্রণব জানান।