ডা. শাহাদাত হোসেনসহ দলের নেতকার্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অবৈধ সরকার তার পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত করেছে।
আমীর খসরু ছাড়া অন্য বিবৃতিদাতারা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন। অবিলম্বে শাহাদাতসহ ধৃতদের মুক্তি দাবি করেন তারা।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তিনি একজন পেশাজীবী চিকিৎসক ও মানবতার ফেরিওয়ালা। যিনি বিগত চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে জনতার মেয়র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। যিনি মানুষকে বিনা টাকায় চিকিৎসা ও সাহায্য করেন। এমন একজন জনপ্রিয় নেতাকে বিনাকারণে তার চেম্বার থেকে রোগী দেখার সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হাস্যকর, বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। চট্টগ্রামে সরকার বিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার করে ক্ষমতার মসনদকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে। জনগণের উপর সরকারের কোনো আস্থা নেই। আর তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। প্রশাসন যন্ত্রকে তাদের অবৈধ ক্ষমতায় ঠিকে থাকার খুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে। আমরা এই গ্রেপ্তার ও হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
