বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, অগ্রগতির চালিকাশক্তি। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের লোলুপ দৃষ্টি। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষা করতে হবে। অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন বিভাগে ৪ হাজার শূন্যপদে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বন্দরের সদস্য ও উচ্চপদে বাইরে থেকে কর্মকর্তা আনা চলবে না, বরং কর্মরত অভিজ্ঞ, দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণস্পন্দন এনসিটি, সিসিটিসহ কোনো স্থাপনা কোনো দেশি–বিদেশি অপারেটর বা ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া যাবে না। বরং দেশের স্বার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে সেগুলো পরিচালনা করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে ন্যায়, ইনসাফ ও অধিকারের আওয়াজকে বুলন্দ করতে হবে। আর এসবের যথাযথ ও টেকসই গ্যারান্টি দিতে পারে একমাত্র ইসলামী শ্রমনীতি। চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের সমৃদ্ধি এবং ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের দুর্জয় ঘাঁটিতে পরিণত করতে হবে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী শ্রমিক সংঘের সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিনের পরিচালনায় বন্দর রিপাবলিক ক্লাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান। বক্তব্য দেন, ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী, বন্দর থানার প্রধান উপদেষ্টা মাহমুদুল আলম এবং সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। প্রায় দুই হাজার বন্দর শ্রমিক ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।