চট্টগ্রামে সেন্ট স্কলাসটিকাস স্কুল এন্ড কলেজ অবিলম্বে খুলে দেয়াসহ ৫ দফা দাবিতে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন অভিভাবক সমাজ। পাঁচ দফা দাবির অন্যতম হল পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ও তাদের মদদদাতা শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার।
গতকাল শনিবার সকালে পাথরঘাটা ইকবাল রোডে এই মানববন্ধন করেন সচেতন অভিভাবক সমাজ। এসময় তারা বলেন, পাঁচ দফা দাবি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেনে না নিলে আমরা আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সচেতন অভিভাবক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে স্কুলটির পক্ষ থেকে ১৫ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু তিন কার্যদিবস পার হয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি নেই সেই তদন্ত কমিটির। এছাড়াও দাপ্তরিক নোটিশ প্রদান না করেই গত ২৮ আগস্ট স্কুল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক সুরজিৎ পাল ও রাকিব উদ্দিন এবং তাদের মদদদাতা উমর ফারুককে শিক্ষকতা থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া সিস্টার বৃন্তা ও শিল্পীকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বিদ্যালয় এবং এর ম্যানেজিং কমিটির প্রতি আমাদের সম্মান ও আস্থা রয়েছে। তবে সংঘটিত যৌন হয়রানির ঘটনার প্রতিকারে অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা বিদ্যালয়ের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য এবং সুনামের ক্ষতি করছে।
বক্তারা বলেন, আমরা ১৫ জনের সঙ্কট নিরসন কমিটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারছি না। আমরা সংলাপে আগ্রহী। তবে এটি হতে হবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে যাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো সংলাপ প্রস্তাব সচেতন অভিভাবকদের কাছে সময়ক্ষেপণ এবং মূল সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে সচেতন অভিভাবকদের সংলাপের সময় ও স্থান অবিলম্বে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মূল্যবান সময় যেন নষ্ট না হয় সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে স্কুল খুলে দিয়ে নিয়মিত পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।












