মা বাবাকে সন্তানেরা কষ্ট দিলে তা কখনো বুঝতে দেয় না। সব কিছু নীরবে মেনে নেয়, সহ্য করে। কোন প্রকার অভিশাপ দেয় না। সব কিছু মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যায়। হাজার হলেও নিজের পেটের স্নেহ আদরের সন্তান। পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হচ্ছে মানুষ। মানুষেরা কষ্ট পেলে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। অন্যকে হৃদয়ের মনের কথা বলে ভারী বুকটা হালকা করতে পারে। মানুষের স্মরণশক্তি, বুঝার জ্ঞানবুদ্ধি খুবই তীক্ষ্ণ যা অন্য প্রাণীর কাছে নেই। তাই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত একে অপরের সাথে প্রেম বন্ধন, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা গড়ে উঠেছে। এমনকি এই পৃথিবী ছেড়ে অন্যগ্রহেও যোগাযোগ করে চলেছে। অন্যদিকে জীবেরা আঘাত পেলে শব্দ করে চোখে জল আসে কিন্তু অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। পারে না কাউকে সুখ দুঃখের কথা বুঝাতে এবং আমাদের কখনোই তা অনুভব করা সম্ভব হয় না। যেমনটি গাছেরা কষ্ট পেলে আর্তনাদ করে নিরন্তন তা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণীত হয়েছে। গাছপালাদেরও প্রাণ আছে, ব্যথা পায়, পানি না পেলে, পরির্চযা না হলে,
আঘাত পেলে কষ্টে প্রচণ্ড শব্দ করে যা আমরা শুনি না বা বুঝি না। পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী বুদ্ধিমান হয়েও মানুষেরা প্রকৃতির প্রতি সব সময় উদাসীনতা, অবহেলায় পরিবেশ নষ্ট করি। প্রকৃতির পরিবেশ নিয়ে ভাবার সময় কারো নেই। এই খেয়ালীপনা সহ্য করতে করতে এক পর্যায়ে সময়ের বিবর্তনে প্রকৃতি আমাদের উপর নিষ্ঠুর হয়ে ক্ষেপে উঠে। অত্যাচারে ভারসাম্য যখন হারিয়ে ফেলে তখন প্রতিশোধ নেয়, লণ্ডভণ্ড করে দেয় আমাদের সাজানো ঘুছানো সমস্ত কিছু। বুঝিয়ে দেয় জ্ঞান বুদ্ধি না থাকলেও আমার শক্তি আছে, প্রলয় ঘটায় ধরনীতে। ভূমিকম্পন হয় ঘন ঘন, বৃষ্টি বাদল, ঝড় তুফান, খরা কত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে থাকে। ফলে মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। তাই বলি প্রতিটি কিছুর প্রতি সহনশীল হয়ে মানবিক হওয়া সকলের দায়িত্ব। এতে আমারই সুখে নিরাপদে থাকবো এই সুন্দর ক্ষণিকের পৃথিবীতে।