অবস্থান বদলাও নয়তো সরে দাঁড়াও জেলেনস্কিকে চাপ ট্রাম্প মিত্রদের

| মঙ্গলবার , ৪ মার্চ, ২০২৫ at ১২:২০ অপরাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে একমত এমন শীর্ষ রিপাবলিকানরা ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে দুটি পথের মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নিতে বলেছেনহয় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে অবস্থান বদলাতে হবে, না হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে জেলেনস্কির তুমুল বাকবিতণ্ডার পর রিপাবলিকানদের এমন অবস্থান জেলেনস্কির ওপর চাপ আরও তীব্রতর করছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে রোববার লন্ডনে এক বৈঠকে ইউরোপের নেতারা জেলেনস্কির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরদারে এগিয়ে আসতে অন্যদের প্রতি জোরাল আহ্বান রেখেছেন। খবর বিডিনিউজের।

শুক্রবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও ভ্যান্সের সঙ্গে জেলেনস্কির ওই বিবাদের কারণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আগেভাগে হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, শেষ পর্যন্ত তাও হয়নি। সেদিনের বাকবিতণ্ডায় জেলেনস্কিকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স, যা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্রদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে কী হতে যাচ্ছে, তিন বছর আগে রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধটি ট্রাম্প আদৌ থামাতে পারবেন কিনা, উঠছে সেসব প্রশ্নও। শুক্রবারের বৈঠকে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুনী ও সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্টই ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইউক্রেইনের ওপর হামলা চালান। তবে ট্রাম্প মিত্রদের কাছে এসব যুক্তি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না, তারা চাচ্ছেনযত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার জন্য জেলেনস্কি আদৌ প্রস্তুত কিনা, তা নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছে পরিষ্কার নয়। ট্রাম্প চাইছেন ভূখণ্ড ছাড়ের বিনিময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার মাধ্যমে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে স্থায়ী শান্তি, বলেছেন ওয়াল্টজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রাম্প-নীতিতে সায় নেই ৫২ শতাংশ মার্কিনির : জরিপ
পরবর্তী নিবন্ধইসরায়েলি বাধায় গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা