একে তো টেস্ট ক্রিকেটের চতুর্থ ইনিংস, তার ওপর মিরপুরের পিচ। ভারতের জন্য ১৪৫ রান খুব বড় লক্ষ্য না। তবে শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ভারতও ভুগছে। ৪৫ রান তুলতে তারা হারিয়ে ফেলেছে চার উইকেট। বাংলাদেশের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে নাজেহাল হচ্ছে ভারতের ব্যাটাররা। সফরকারীদের জয়ের জন্য এখনও দরকার ১০০ রান। বাংলাদেশের চাই ৬ উইকেট। স্পিনাররা যেভাবে পিচ থেকে সাহায্য পাচ্ছে, রঙিন স্বপ্ন টাইগাররা দেখছে তাতে।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন দাসও বললেন, এই ম্যাচ জেতা সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘টেস্ট)অবশ্যই জেতা সম্ভব। সকাল সকাল যদি এক–দুইটা উইকেট নিতে পারি, অবশ্যই জেতা সম্ভব। হাতে যতই বড় বড় ব্যাটার থাক, হাতে উইকেট না থাকলে অনেক কিছু চাইলেই করতে পারবে না। এসেই যদি ২ উইকেট নিয়ে নিতে পারি, এরপর ঋষভ আছে, আয়ার আছে। অবশ্যই তারা ভালো খেলোয়াড়, তবে চাপে থাকবে। ১৪৫ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখা গেছে বেশ উজ্জ্বীবিত। প্রথম বল থেকেই ভারতীয় ব্যাটারদের চাপে রেখেছেন বোলাররা। কিন্তু অল্প রানের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কি ছিল? লিটন বলেন, তারা ভরসা করেছেন নিজেদের বোলারদের ওপর।
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা জানি আমাদের বোলারদের কী কোয়ালিটি আছে।
মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিং সবসময় কঠিন। তবে ওদের লক্ষ্যও বেশি বড় না। বেশি আক্রমণ করতে গিয়ে রান দিয়ে গেলে খেলা কিছু থাকে না। তাই আমরা রক্ষণাত্মক থেকে বল করেছি। ব্যাটাররাও আউট হচ্ছিল।’ ম্যাচে কে এগিয়ে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে টেস্ট দলের সহ–অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই, এ মুহূর্তে আমরাই এগিয়ে। তারা চাপে আছে। আমরা ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামলে তারা ভেঙে পড়বে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের জিততে হবে। পরিকল্পনা এটুকুই। তাদের বরং ভালো পরিকল্পনা থাকতে পারে।’ ‘আমরা জানি মিরপুরে চতুর্থ ইনিংস সবসময়ই কঠিন। সব ব্যাটারের জন্যই। আমরা ২০০–২২০ লক্ষ্য দিতে চেয়েছিলাম। যে স্কোর দাঁড় করেছি, এখনও আরও ১০০ রান দরকার। অনেক কঠিন কিন্তু। এখন যে অবস্থা, এই লক্ষ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট।’