কাপ্তাই–রাঙামাটি সড়কের ভেপ্পাপাড়া ছড়ার মুখে সৃষ্ট ধস সংক্রান্ত কাপ্তাই প্রতিনিধি কর্তৃক প্রেরিত একটি খবর গত ৩০ অক্টোবর দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত হয়েছিল। আজাদীর ঐ প্রতিবেদনে কাপ্তাই–রাঙামাটি সড়কের ভেপ্পাপাড়া ছড়ার মুখে সৃষ্ট ধস বিষয়ে সচিত্র প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সড়কে সৃষ্ট গর্ত দিন দিন বড় আকার ধারণ করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার করা না হলে পুরো সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঐ খবরটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমার দৃষ্টিগোচর হয়। খবরটি দেখার পর তিনি দ্রুত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেন। টানা ১২দিন সংস্কারের পর সড়কটি বর্তমানে নিরাপদ হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে– সড়কের পাশে বিশাল আকারের সৃষ্ট গর্তটি মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। একজন সহকারী প্রকৌশলী সড়ক সংস্কারের শেষ মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করছেন। সড়কের আর কোথাও গর্ত বা ফাটল রয়েছে কিনা সেটাও পরখ করে দেখা হচ্ছে।
সড়ক সংস্কারের কাজে নিয়োজিত আমির হোসেন নামক একজন শ্রমিক বলেন, সড়কে সৃষ্ট ধস সংস্কারের জন্য প্রচুর মাটির দরকার ছিল। কিন্তু আশেপাশে পর্যাপ্ত মাটির ব্যবস্থা ছিল না। তাছাড়া সড়কের ভাঙন কবলিত স্থানটিতে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বড় আকারের বাঁক রয়েছে। এই সড়কে প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করে। তাই দূর থেকে সাবধানতার সাথে মাটি এনে সৃষ্ট গর্তে ফেলতে হয়েছে। এতে সময় বেশি লেগেছে। তবে অত্যন্ত মজবুত করে মাটি দিয়ে গর্তটি ভরাট করা হয়েছে। আশা করা যায় এখানে আর ভাঙন বা গর্ত সৃষ্টি হবে না।
ট্রাকচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, আগে ভাঙন কবলিত এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে অনেকটা ভয়ের মধ্যে থাকতে হতো। কিন্তু সড়ক সংস্কারের পর এখন নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কার করায় তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাঙামাটিকে ধন্যবাদ জানান।