বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দুই মাস কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পেলেন তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান বলে জেলার ফারহানা আক্তার জানিয়েছেন।
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার গত রোববার বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ফারদিন হত্যা মামলায় গত ১০ নভেম্বর বুশরাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বলেন, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই–বাছাই শেষে আমাতুল্লাহ বুশরাকে দুপুরে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর বুশরাকে তার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম কারাগার থেকে নিয়ে যান বলেও জানান ফারহানা আক্তার।
গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ১৬ নভেম্বর বুশরার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছিল আদালত। ৫ ডিসেম্বর হাকিম আদালতে বুশরার জামিন আবেদন আবারও খারিজ হলে তিনি জজ আদালতে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের একমাস পর ৫ জানুয়ারি বুশরার জামিন শুনানি হয়। কিন্তু বাদী পক্ষের আইনজীবী সেদিন শুনানিতে ছিলেন না। সে কারণে রোববার তাকে শুনানি করার অনুমতি দেন বিচারক। রোববার শুনানিতে বুশরার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হীরন। ওইদিন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ এরই মধ্যে জানিয়েছে, ফারদিন খুন হননি, আত্মহত্যা করেছিলেন। আর তার মৃত্যুর সঙ্গে বুশরার কোনো ‘সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি’। সুতরাং আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।