অবশেষে পাঁচ হলে মুক্তি পেল ‘সাঁতাও’

| শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

গণ অর্থায়নে নির্মিত সিনেমা ‘সাঁতাও’ প্রদর্শন নিয়ে সঙ্কট কেটেছে। গতকাল শুক্রবার পাঁচটি হলে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। জানা গেছে, ঢাকার বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্স ব্লকবাস্টার সিনেমাস, রংপুরের শাপলা সিনেমা হল, চট্টগ্রামের সুগন্ধা ও সিলভার স্ক্রিনে এ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। রংপুর অঞ্চলের সুরেলা জনগোষ্ঠির যাপিত জীবন ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে ‘সাঁতাও’ নির্মাণ করেছেন খন্দকার সুমন

 

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল সেন্টু। খবর বাংলানিউজের। সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘সাঁতাও’ নিয়ে দর্শক ও সিনেমা সংশ্লিষ্টদের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবাই যেভাবে এসে সাঁতাওয়ের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, সিনেমাটি নিজেদের মনে করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমার মনে হচ্ছে তারা সবাই সিনেমাটির অবিভাবক। তিনি আরো বলেন, এভাবে সবাই মিলে যখন একটা সিনেমার জন্য কাজ করা হয়, তখন শুধু সেই সিনেমাটাই জিতে যায় না।

জিতে যায় চলচ্চিত্র। সাঁতাও প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাতা নিঃসঙ্গ না, একা না। আমরা সবাই মিলে চলচ্চিত্রের লোক। চলতি বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। এর গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের কৃষক ফজলু বিয়ের পর বুঝতে পারে নতুন সংসারে পুতুল একাকিত্ব অনুভব করছে। পুতুলের একাকিত্ব দূর করতে ফজলু একটি গাভী কিনে আনে।

পুতুল তার সংসারে নতুন সঙ্গী পেয়ে বাবার বাড়ি ছেয়ে আসার কষ্ট গুলো কিছুটা ভুলতে শুরু করে। এই দিকে নদীর উজানে একের পর এক বাঁধের কারণে ভাটি অঞ্চল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশে ফজলুর মত কৃষকদের কৃষি কাজে নানান সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢল এসে উপচে না পড়া পর্যন্ত বাঁধগুলোর দরজা বন্ধ রাখা হয়।

আবার বাঁধের দরজাগুলো খুলে দিলে আটকে থাকা বিশাল জলধারা নদীতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। নদীর গভীরতা কম থাকায় হঠাৎ প্রবাহিত জলধারা নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়ে পশুপাখিসহ জনজীবনে অভিশাপ বয়ে আনে। নদীর এমন বিরূপ আচরণে ফজলু এবং পুতুলের সুখি সংসার বিষাদময় হয়ে উঠে।

সিনেমাটিতে পুতুল ও ফজলুল ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মো. হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাণনাশের হুমকি পেলেন শাহরুখ
পরবর্তী নিবন্ধশাহরুখের মায়ের ভূমিকায় আমির খানের বড় বোন!