দুই বছরেরও বেশি সময় বিচারকহীন থাকার পর অবশেষে বিচারক পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত। চলতি সপ্তাহ বা পরের সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ এ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন বিচারক। এর ফলে জটে থাকা ২৯২টি দুর্নীতির মামলায় গতি ফেরার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই আদালতের পিপি সানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ আদালতে শীঘ্রই নিয়মিত বিচারক নিয়োগ হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে চলতি সপ্তাহ বা পরের সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে যখন নিয়মিত বিচারক ছিল তখন মাসে কমপক্ষে ১০টি মামলা নিষ্পত্তি হতো। কিন্তু এখন বার মাসেও ১০টি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ২০২০ সালে এ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৯টি মামলা। এর মধ্যে ৭টি মামলায় (ফৌজধারি) আসামিরা খালাস পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলার (সিভিল) মধ্যে একটিতে বাদী, অপরটিতে বিবাদী পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত। নিষ্পত্তিকৃত ফৌজধারি ৭ মামলার মধ্যে ৫টি দুদকের মামলা।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি এ আদালতের বিচারক বদলি হওয়ার পর আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বর্তমানে এ আদালতে ৯৩৩টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে স্পেশাল মামলা (দুদক) ২৯২টি, দায়রা মামলা (মাদক) ৪০৯টি, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (অস্ত্র) ৩৮টি, মিস আপিল (জমি সংক্রান্ত) ১৭টি, অপর আপিল (জমি সংক্রান্ত) ৯৮টি, রিভিউ মিস (জমি সংক্রান্ত) ৬টি, ফৌজধারি আপিল (আদেশের বিরুদ্ধে) ৫১টি ও ফৌজধারি রিভিশন (আদেশের বিরুদ্ধে) ২২টি। এর মধ্যে উচ্চ আদালত কর্তৃক স্থগিত রয়েছে ৯৭টি মামলা।
আইনজীবীরা বলছেন, এ আদালতে দুদকের মামলা থেকে শুরু করে খুন ও মাদকের মামলাও রয়েছে। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।
আইনজীবী টি আর খান আজাদীকে বলেন, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আমার নিজের ২টি হত্যা মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি পাহাড়তলী থানার ও অপরটি হালিশহর থানার। দুই মামলারই বয়স ২২ বছরের বেশি। দুঃখের বিষয় হলো, বিচারক না থাকার ফলে এ দুটি মামলার বিচার কাজ সাক্ষ্যগ্রহণে আটকে আছে। বিচারক থাকলে দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ হতো এবং এতদিনে বিচার কাজও শেষ হয়ে যেত।