অবশেষে টেন্ডার, ব্যয় হবে সোয়া কোটি টাকা

দোহাজারী-লালুটিয়া-চৌকিদার ফাঁড়ি সড়ক

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | রবিবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে সংস্কার কাজের টেন্ডার হলো দোহাজারীলালুটিয়াচৌকিদার ফাঁড়ি সড়কের। গত সপ্তাহে ইটেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আগামী ১ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানা যায়। এই সংস্কার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। দোহাজারী পৌরসদর থেকে হাজারী পুকুরপাড়ের শেষ সীমানা পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৪শ ৫০ মিটার আরসিসি ঢালাই করা হবে। এদিকে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার হওয়ার খবরে দোহাজারী ছাড়াও আশেপাশের কয়েক হাজার মানুষের মাঝে স্বস্তি এসেছে। এ বিষয়ে মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি দৈনিক আজাদীকে বলেন, সড়কটি ব্যবহারে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল দোহাজারী পৌরবাসীকে। ফলে দ্রুত সড়কটি সংস্কার হবে এটা ছিল তাদের প্রাণের দাবি। তাই এলাকাবাসীর দূরবস্তার কথা চিন্তা করে সড়কটি সংস্কারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

তিনি আরো বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হলে শুধু দোহাজারীবাসী নয়, উপকৃত হবে উপজেলার দুর্গম ধোপাছড়ি ইউনিয়ন ও সাতকানিয়ার পুরানগড়, বাজালিয়া ও ধর্মপুর ইউনিয়নবাসীও।

জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভাধীন সবকটি সড়কের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়ক দোহাজারীলালুটিয়াচৌকিদার ফাঁড়ি সড়কটি। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র দোহাজারী উপশহরের মধ্যদিয়ে সড়কটি চলে গেছে পূর্ব দিকে দোহাজারীর শেষ সীমানা শক্সখনদীর চৌকিদার ফাঁড়ি ঘাট পর্যন্ত। দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন অবস্থায় থাকায় সড়কটি ব্যবহারে স্থানীয়দের দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্তমানে দোহাজারী খানপ্লাজার সামনে থেকে হাজারী পুকুরপাড় পর্যন্ত হাটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত রিকসা, ভ্যান উল্টে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মালামাল নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। দোহাজারী ছাড়াও এটি ব্যবহার করেন সাতকানিয়ার পুরানগড়, বাজালিয়া, ধর্মপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউননবী ও উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ১ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকায় সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কাল সোমবারের মধ্যেই ঠিকাদার বাচাই হয়ে যেতে পারে। চলমান বর্ষা শেষেই এক মাসের মধ্যে পুরোদমে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এরমধ্যে দাপ্তরিক যেসব প্রক্রিয়া আছে তা শেষ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধট্রাকে ৮ হাজার ইয়াবা