অবশেষে চিঠি পেলেন আহ্বায়ক ও সদস্যরা

চিঠি দেয়ার আগে সমন্বয় কমিটির ২ সদস্যকে নিয়ে বসা হয়নি বলে অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে নগর আওয়ামী লীগের ১৫ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক ও সদস্যরা পেলেন তাদের দায়িত্ব পালনের চিঠি। ১৫ থানার সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকির জন্য গঠিত ১৫ সাংগঠনিক টিমের সদস্যদের চিঠি দিয়ে অবহিত না করায় গত ৮ এপ্রিল সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে একটি বৈঠক হয়েছিল। বেশিরভাগ আহ্বায়কই এতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরদিন শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের কাছে নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। এই অভিযোগ করেছিলেন ৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটির দুই সদস্য নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও নগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
জানা গেছে, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক এবং কেন্দ্রে চিঠি পাঠানোর এই সময়ের মধ্যেই নগরীর ১৫ থানার সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক এবং সদস্যদের মাঝে চিঠি দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক ও সদস্য তাদের চিঠির কপি আজাদীর কাছে পাঠালে তাতে দেখা যায়- ইস্যু করা চিঠিগুলোয় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেছেন ৮ এপ্রিল। ১০ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ থানার আহ্বায়ক এবং প্রত্যেক সদস্য চিঠি পেয়েছেন বলে কমিটির বিভিন্ন জনের কাছে ফোন করে জানা গেছে।
নগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা গতকাল আজাদীকে জানান, ১৫ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়কদের সাথে ৪ জন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন, সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু ১৫ থানার সাংগঠনিক টিম পূর্ণাঙ্গ করে চিঠি দেয়ার আগে ৪ সদস্যের সমন্বয় কমিটির সদস্য নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও সিটি মেয়র এবং নগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে নিয়ে বসা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আলম মাহমুদ আজাদীকে জানান, সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমার কাছে চিঠি এসেছে। আমি গত ৯ এপ্রিল চিঠি পেয়েছি। গত ১০ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ থানার আহ্বায়ক এবং সকল সদস্য চিঠি পেয়েছেন। আমি ১০ তারিখ রেজিস্ট্রারে দেখেছি প্রায় সবাই স্বাক্ষর করে চিঠি নিয়েছেন। আমার কমিটির যারা সদস্য তারা চিঠি পেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। এখন আমাদের কাজ হবে সংগঠনিক টিমের সদস্যদের সাথে বসা। তারপর থানা কমিটির সাথে বসবো। এরপর ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে বসবো। তাদের কোন অভিযোগ আছে কিনা সেটা জানবো।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকও গত ৯ এপ্রিল আহ্বায়ক হিসেবে তার চিঠি পেয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, আমরা যারা ১৫ থানার সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক আছি তারা সহ প্রত্যেক সদস্য চিঠি পেয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকারখানায় দিনে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ রাখার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধমসজিদে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত