বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের গতকাল প্রথম দিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা কম ছিল। অনেকেই টিকিট কেটে যাননি। ট্রেন ছাড়ার আগ মুহূর্তে অনেক ট্রেনে অর্ধেক সিট খালি দেখা যায়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় এবং তিনটায় চট্টগ্রাম স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম–ঢাকা, চট্টগ্রাম–চাঁদপুর, চট্টগ্রাম–সিলেট, ময়মনসিংহগামী ট্রেন গুলো সময় মতো আসা–যাওয়া করেছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় স্টেশনের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। ট্রেনগুলো যথাসময়ে আসছে, ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে যতগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে, সবগুলো ট্রেন ঠিক সময়েই ছেড়েছে। আবার ফিরেও এসেছে ঠিক সময়ে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী কম থাকার কথা উল্লেখ করে রতন কুমার চৌধুরী বলেন, অনেক ট্রেনে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে যাত্রী একটু কম। অনেকে টিকিট কেটে ভয়ে যাননি। এখনো (গতকাল রাত সাড়ে ৯টায়) বুধবারের সোনার বাংলা ট্রেনে অনেক টিকিট রয়ে গেছে।
দুই ট্রেনের চলকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিভিন্ন রুটে যাওয়া আমাদের সহকর্মীদের (ট্রেন চালকরা) কাছ থেকে কোথাও কোন ধরনের অগ্রীতিকর ঘটনার খবর পায়নি। ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য বিজয় এঙেপ্রেসের টিকিট নিতে বেলা ১টায় স্টেশনে আসেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্টেশনে আসছি রিকশায়। কারণ রাস্তায় বাস কম ছিল। আমি ব্যবসা করি, ভয় পাচ্ছিলাম অবরোধের কথা শুনে। কিন্তু দেখলাম যে ভিড় কম, টিকেটও পেয়েছি। ট্রেন টাইম মতোই আসবে বললো।
সোনার বাংলা ট্রেনের টিকিট নিতে আসেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার বাড়ি ঢাকায়। চট্টগ্রামে বোনের বাসায় এসেছিলাম। এসে অবরোধে পড়েছি। বাসে না গিয়ে ট্রেন যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে আসলাম।