বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধে সারা দেশে পণ্যবাহী গাড়ি ও বাস চালানোর ঘোষণা দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সেই সঙ্গে যেসব গাড়ি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিও জানানো হয়েছে।
গতকাল সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মালিক–শ্রমিকদের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পরিবহন মালিক সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি–জামায়াত সমাবেশ ও হরতাল কর্মসূচির নামে দলীয় সন্ত্রাসীরা ঢাকাসহ সারা দেশে ১৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ধ্বংস করেছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ঢাকায় অছিম পরিবহনের গাড়িতে থাকা নাঈম নামে একজন শ্রমিককেও পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে জরুরিভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানান সমিতির নেতারা। সেই সঙ্গে অবরোধের দিনগুলোতে সড়কে গাড়ি চলাচল যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য রাজধানীসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেন সমিতি নেতারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।