চাক্তাই খালের মুখে নির্মাণাধীণ স্লুইচ গেটের প্রশস্ততা কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশস্ততা যতটুকু বড় হওয়া উচিত তা হয়নি। এতে জলাবদ্ধাতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কার্যকারিতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশংকা আছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে খালের মুখের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে আজ শনিবার সকাল ১১টায় নগরের সার্কিট হাউজে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল, দূষণরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা নিয়ে সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে যোগ দিবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। আজকের সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সভায় সকল পক্ষ, যারা যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত উপস্থাপন করবেন। সেখানে আমরা দেখবো গৃহীত প্রকল্প যে পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে তাতে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে কী না।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন প্রসঙ্গে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, খাল থেকে এখনো মাটি সরায়নি। খালের মুখে যে স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে সেটার প্রশস্ততাও কম। এসব দেখে মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মেয়র বলেন, খাল তো ১০০ ফুট প্রশস্ত। কিন্তু স্লুইচ গেইটের মুখ করা হয়েছে ১০ ফুট মত। নৌকা ঢুকানোর স্পেসও পর্যাপ্ত না। যেন ঘরের দরজা। অথচ দরকার হলে স্লুইচ গেইটের ডিজাইন পরিবর্তন করে উচিত ছিল। এদিকে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। কাজ যেন নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন হয়। ডিজাইন ও কাজের গুণগত মান ঠিক আছে কীনা দেখার জন্য এসেছি। কী কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে, প্রকল্পের কোনো ত্রুটির জন্য, নাকি প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে, নাকি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন থাকার কারণে হচ্ছে তা দেখার জন্য আসছি।
প্রকল্পের কাজ চলমান থাকা অবস্থায়ও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ শেষ না হলে সুফল পাবেন কি করে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। যেসব প্রকল্পগুলো হচ্ছে সেগুলো যদি পরিকল্পিতভাবে হয়, যে কারণে জলাবদ্ধতা তা নিরসনে যদি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় তাহলে অবশ্য সুফল পাওয়া যাবে। সমন্বয়হীনতা প্রসঙ্গে বলেন, সমন্বয়হীনতা বড় কঠিন কিছু না। থাকলে সেটা দূর করা যাবে। কিন্তু কাজ যদি ভুল হয় সেটাকে সংশোধন কঠিন হবে। খালের বাঁধ প্রসঙ্গে বলেন, নির্মাণকালীন কোথাও বাঁধ দেয়া হলে কাজ শেষে তা অটোমেটিক সরানো হবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না। যদি ভোগান্তি হয়ে থাকে তা ভবিষ্যতে ভালো কিছুর জন্য। কিছুটা কষ্ট তো সহ্য করতে হবে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, মেগা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ্ আলী, ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন।