অপহরণের তিন দিন পর মিলল যুবদল নেতার বস্তাবন্দী লাশ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২০ at ৯:২২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে অপহরণের ৩ দিন পর যুবদল নেতা মো. জামশেদের (৩২) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বশরতনগর সমুদ্র উপকূলে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত জামশেদ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি হাসনাবাদ ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার হাসনাবাদ এলাকায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদলের সঙ্গে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
নিহত জামশেদের স্ত্রী রুবি আক্তার বলেন, ওই দিন অনুষ্ঠান শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একদল সন্ত্রাসী আমার স্বামীকে দেলীপাড়া রাস্তার মাথা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি।
এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন রুবি। এরপর পুলিশ মো. জুয়েল ও সাইফুল্লাহ নামে দুজনকে আটক করে।
নিহত জামশেদের শ্যালক জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনার ৩ দিন পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে শনিবার দুপুর ১টার দিকে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জামশেদের স্ত্রী তার স্বামীকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। এর এক ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে জামশেদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। পরে তারা লাশটি শনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুনুর রশিদ। ধারণা করা হচ্ছে, খুনিরা তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দী অবস্থায় সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম বলেন, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ও ঠাণ্ডা মাথায় যুবদল নেতা জামশেদকে হত্যা করেছে। আমরা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা একটি বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনারোধে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে মামলায় আটক দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামশেদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা ছিল বলে জানিয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। গতকাল তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সুমন বণিক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৌলবাদী গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত করবো না : নওফেল
পরবর্তী নিবন্ধএকতরফা কাউন্সিল মেনে নেওয়া হবে না : ফয়জুল্লাহ