টেকনাফে অপহরণ করতে এসে জনতার হাতে আটক হয়ে গণপিটুনির শিকার হয় দুই রোহিঙ্গা অপহরণকারী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কঙবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, নিহত ব্যক্তি দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৭টি হত্যা, ৬টি অপহরণ, ২টি মাদক, ২টি ডাকাতি ও একটি ধর্ষণ মামলাসহ ২৮টি মামলা রয়েছে। প্রথমে তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হলেও গণপিটুনিতে আহত অপর সঙ্গী বশির নিহত ব্যক্তি আবদুল হাকিম বলে নিশ্চিত করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের পাহাড়ি এলাকার ঘোনা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় শাহ আলমের দুই ছেলে আবছার ও তার ছোট ভাই পাহাড় থেকে নিজেদের পালিত গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। তারা ঘোনার কাছে এলে আবছারকে অপহরণকারীরা ধরে বেঁধে ফেলে। এসময় ছোট ভাই চিৎকার করলে তাদের পেছনে থাকা বাবা শাহ আলম এসে দুই রোহিঙ্গাকে ধরে ফেলে ও হাতে থাকা দা নিয়ে কোপ দেয়। স্থানীয় জনতাও যোগ দেয় শাহ আলমের সঙ্গে। এক পর্যায়ে দুই অপহরণকারীকে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন অপহরণকারীর কবল থেকে ছেলেকে উদ্ধার করা কৃষক শাহ আলম।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির উপ–পরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান বলেন, অপহরণ করতে এসে দুই রোহিঙ্গা জনতার হাতে আটক হয়। গণপিটুনিতে একজন নিহত ও আরেকজনের অবস্থা গুরুতর। প্রথমে তাদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও একদিন পর জানা যায় নিহত ও আহত দুজন দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম ও বশির। তবে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহত অপহরণকারী হাকিম ডাকাত কিনা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।