ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ বলেছেন– অপসংস্কৃতির করাল গ্রাসে আমাদের গোটা সমাজ ব্যবস্থাই ক্ষত–বিক্ষত। যুব সমাজের বল্গাহীন আচরণ ও বেপরোয়া চালচলন দেখলে মনে হয় না আমরা একটা সভ্য দেশের বাসিন্দা। বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, উন্মত্ততা ইত্যাকার বিষয়াদি আমাদের সংস্কৃতিতে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে তরুণ–তরুণীরা ক্রমাগত ঝুঁকে পড়ছে পাশ্চাত্যের ঘৃণ্য সভ্যতার প্রতি। এহেন পরিস্থিতি থেকে প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। আর এক্ষেত্রে ‘ফুটন্ত ফুল’ এর এহেন প্রয়াস– প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ অদুদ বলেছেন, আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সভ্যতা আজ নির্বাসিত। জাতি হিসেবে আমরা অনেক এগিয়ে গেলেও জাতীয় জীবনে একটি আদর্শিক ও সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে পারিনি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান নৈতিক পদস্খলন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অশনি সংকেত বলে তিনি উল্লেখ করেন। জাতীয় শিশু–কিশোর সংগঠন ফুটন্ত ফুল এর উদ্যোগে ৪ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে শিশু কিশোর সমাবেশ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের মহাপরিচালক মুফতি মওলানা হেলাল উদ্দিন আল কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী।
প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইয়িদ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ অদুদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সচিব মাওলানা এ এম মঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, ফয়জুল বারী ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক হাফেজ ক্বারী মওলানা ইকরামুল হক, সূফী গবেষক স্থপতি লিয়াকত আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সচিব মুহাম্মদ তানভীর আজহারী, পরিচালক ইকবাল হোসাইন, জাহিদ কাদরী, শহীদুল ইসলাম, আল আমিন আবেদী প্রমুখ। সমাবেশে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।