অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের হাত থেকে কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। সুজন বলেন, কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় শত শত ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন এসব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে নামে মাত্র ইজারা নিলেও বেশির ভাগ সিন্ডিকেট ইজারা না নিয়ে বালি উত্তোলন করছে বলে জানা যায়। আর এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে। যারা আইন কানুনের কোন রকম তোয়াক্কা করছে না। আবার অনেক সময় এসব সিন্ডিকেটের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া যায়। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে কর্ণফুলী নদীর আশেপাশের অনেক বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনও দেখা দিচ্ছে। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে কর্ণফুলী নদীর গতিপথ অবাঞ্চিতভাবে পরিবর্তন হওয়ার আশংকা রয়েছে। যে কোনো সময় হুমকিতে পড়তে পারে কর্ণফুলী নদীর উপর স্থাপিত তৃতীয় সেতু। বিশেষ করে বেশি হুমকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দর। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীতে পলি জমে বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভেড়ানো বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যে কোন মূল্যে কর্তফুলী নদীকে রক্ষা করতে এখনই বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন সুজন।
তিনি আরো বলেন, কর্ণফুলী নদীতে চলাচলরত ফেরিতে প্রায়ই ধাক্কা দেয় বালুবাহী অবৈধ বাল্কহেডগুলো। যে কোন সময় বালুবাহী অবৈধ বাল্কহেডগুলোর ধাক্কায় জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা রয়ে যায়। তাই এসব অবৈধ বাল্কহেডগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানান সুজন। পাশাপশি নদী থেকে চিংড়ী পোনা আহরণের নামে দেশীয় মাছের পোনা আহরণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
