আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ১০ খুন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুনোখুনি ও অপহরণ নিয়ে অস্থির পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সফরে এসে গতকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ট্রলারে ১০ ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতেও পুলিশ কাজ করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনেও কাজ করছে বলে জানান আইজিপি। ট্রলারে ১০ লাশ উদ্ধার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, যে কোনোভাবেই হোক না কেন, ১০টি প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনা শোনার পর পরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি ও পিআইবির টিমও পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে র্যাবও কাজ করছে। সবাই মিলে ঘটনার মূল কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
জলদস্যুদের অপরাধ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আত্মসমর্পন করা জলদস্যুদের বিষয়ে পুলিশ প্রতিনিয়ত খবর রাখছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারও কোনো অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে কিনা তা খবর রাখছি। তাদের কেউ পুনরায় অপরাধে জড়িত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপহরণ প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে আমাদের জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করলেই সহযোগিতা পাচ্ছেন। সবাইকে এই সেবা নেওয়ার অনুরোধ করবো। এই পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। যেকেউ ফোন করে এই সেবা নিতে পারেন।
রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সজাগ রয়েছে জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে খুনখারাবি আগের তুলনায় কমেছে। তবে গত মাসে কিছুটা অবনতি ঘটেছিল। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ধরা পড়ছে। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। ক্যাম্পের পরিস্থিতি উন্নয়নে নানা কৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
পুলিশ প্রধান গত মঙ্গলবার দুইদিনের সফরে কক্সবাজার আসেন। গতকাল সকালে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আইনশৃক্সখলা সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।












