কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রতিনিয়ত স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামী আলাউদ্দিন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যও দেখা দেয়। এরইমধ্যে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী। সেই বিষয়টি জানতে চাওয়ায় পেটানো হয় প্রথম স্ত্রীকে। এর পর অপমানে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় প্রথম স্ত্রী মিনান নাহার পুতু (২৮)।
গত শনিবার রাতে খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল রোববার সকালে লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এর আগে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলীর কসাইপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, আট বছর আগে কাকারার বটতলী কসাইপাড়ার ফরিদ আলমের ছেলে আলাউদ্দিনে সাথে মিনার নাহার পুতুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক কলহও লেগে ছিল পরিবারটিতে। এরইমধ্যে স্বামী আলাউদ্দিন স্ত্রী মিনারকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সেই বিয়ের খবর জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী মিনার স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করলে স্বামী তাকে পেটায়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে মিনার নাহার।
মিনার নাহারের বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাদের মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এটি আত্মহত্যা নয়, সরাসরি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।