গলা উঁচু করে মিথ্যা বলার ক্ষমতা থাকলে সত্য কোনো কিছুকে মিথ্যা আর মিথ্যা কোনো কিছুকে সত্য হিসেবে দাঁড় করানো কঠিন কিছু নয়। যদিও কথাটা নেতিবাচক নৈতিকতার দিক থেকে। কিন্তু একটু গভীর চিন্তা করলে দেখা যাবে এই নেতিবাচক দিকটা আজকের সমাজের অলিখিত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের ক্ষমতা, লোকজন কিংবা প্রভাব প্রতিপত্তিতে পূর্ণ তাদের অনেকেই এগুলোকে নিজেদের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অন্যায়কে সবার কাছে ন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। মানুষ যদিও মিথ্যাকে মিথ্যাই ভাবে তবে ক্ষমতাশালী মানুষের ক্ষমতার ভয়ে কিংবা ক্ষমতাসীল বন্ধুর বন্ধুত্ব রক্ষায় চুপ করে অন্যায়কে ন্যায় আর ন্যায়কে অন্যায় হিসেবে মেনে নেয় দিনের পর দিন। তারা অন্যায় আর মিথ্যাকে নিজেদের সাথে মানিয়ে নেয়। তবে এই মানিয়ে নেয়ার প্রবণতা বেশিদিন থাকেন। এই অন্যায়কে ন্যায় আর মিথ্যাকে সত্য করার প্রবণতা কোনো একসময় তা ঠিকই বিস্ফোরিত ঘটায়। যে বিস্ফোরণ শিখায় বিদগ্ধ হয় ভালো কালো সবাই। তাই যথার্থই বলা যায় ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেন তৃণ সম দহে’।