অন্যায় প্রতিরোধে ফাঁসির মঞ্চে যেতেও প্রস্তুত সুজন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনে ‘ফাঁসির মঞ্চে’ যেতে এবং ‘মৃত্যু’কে বরণ করতে রাজি আছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি গতকাল বিকেলে নগরের জামালখানস্থ রীমা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক : বাংলাদেশের সংবাদপত্রের অন্যতম পথিকৃৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে নগরের বিপ্লব উদ্যান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বছরে মাত্র এক লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছে একটি কোম্পানিকে। তাদের ২৫টি দোকান করার কথা ছিল। কিন্তু চুক্তির বাইরে দোতলা করে প্রায় ৪০টির মত দোকান করে ফেলেছে। চুক্তির বাইরে যেগুলো আছে সেগুলো ভাঙতে গেলে তারা আদালতে গেছে।
এসময় গর্জে ওঠে তিনি বলেন, অন্যায়কে প্রতিরোধ করার জন্য ফাঁসির মঞ্চে যেতেও ভয় পান না খোরশেদ আলম সুজন। আমি পুরো জীবন রাজনীতি করেছি। রাস্তায় আমি মৃত্যুকে এক বিন্দু দূর থেকে দেখেছি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ মোজাম্মেল কাঞ্চন যখন গুলিতে মারা যাচ্ছিল তখন তার রক্তে আমার শার্ট ভিজে গিয়েছিল। আমার মাত্র এক হাত দূরে শহীদ নূর হোসেন ১০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেছিল। বন্দর অবরোধের সময় মৃত্যুকে আমি এক বিন্দু দূর থেকে দেখেছি। কাজেই মৃত্যুর পরোয়ানা করি না।
চসিক প্রশাসক আরো বলেন, দায়িত্ব পাওয়া থেকে চেষ্টা করছি চট্টগ্রাম শহরকে সুন্দর, নিরাপদ ও মানুষের বসবাসের উপযোগী করার জন্য। এটা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সামনে আসছে। তবে সেগুলোকে আমি টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করছি। যেখানে দুর্নীতি পাচ্ছি সেখানে তা দমানোর চেষ্টা করছি। এতে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট। কিন্তু যারা সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড় থেকে মধু খেয়েছে তারা অসন্তুষ্ট।
চট্টগ্রামের মানুষকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের বন্ধুদের বলবো, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের জয়গান করার জন্য আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছেন। আপনারা আসুন, আমার পাশে দাঁড়ান। চট্টগ্রামের স্বার্থকে রক্ষা করুন। চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি জমি কাউকে লুট করে খেতে দিবো না। তিনি বলেন, ফুটপাত কাউকে দখল করতে দিবো না। আমার স্লোগান হচ্ছে- ‘দখলদার তুই রাস্তা ছাড়া, রাস্তা কি তোর বাপ-দাদার। দখলদার তুই ফুটপাত ছাড়, ফুটপাত কি তোর বাপ-দাদার’। বিভিন্ন সময়ে ‘গালাগালি’ করেন এমন সমালোচনার জবাবে চসিক প্রশাসক বলেন, চারপাশে এত অন্যায় গালি না দিলে ক্ষোভ মিটে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ ও ব্যয় বাড়বে
পরবর্তী নিবন্ধইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে বাদ দিলে চট্টগ্রামের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে