অন্যায় কাজ পরিহারের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করাই নামাজের মূল উদ্দেশ্য

কর্নেল আবু নাসের মো: তোহা, বিএসপি, এসজিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব) | রবিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আনকাবুত এর ৪৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ তিনি সূরা তোয়াহা আয়াত ১৪ তে আরো বলেন, ‘সালাত প্রতিষ্ঠা কর, যাতে করে তোমরা আমাকে স্মরণ করতে পারো। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নিয়মিত নামাজ পড়া, সকলকে নামাজ পড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা এবং নামাজ পড়ার মূল লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা নামাজ পড়ার মূল লক্ষ্য সম্পর্কে উপরোক্ত আয়াত দুইটিতে পরিষ্কার করে ব্যক্ত করেছেন। নামাজ পড়ার মূল লক্ষ্য ‘শয়তানকে দূরে সরিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা এবং তার মাধ্যমে সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।’ অর্থাৎ আমি এমন ভাবে নামাজ পড়বো যেন, শয়তান আমার কাছ থেকে সম্পূর্ণ দূরে সরে যায়, আমি আল্লাহকে ঠিকমতো স্মরণ করতে পারি, অনুভব করতে পারি যে আল্লাহ সবকিছু দেখছেন, উনি সঠিক বিচার করবেন এবং আমার কর্মের উপর ভিত্তি করে আমার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন এবং এই ভয়ে আমি মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকবো, ঘুষ খাওয়া থেকে বিরত থাকবো, সুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকবো, কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবো, কারো ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবো, কারো হক নষ্ট করবো না, সঠিক সময় অফিসে যাব, আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব, কারো অধিকার কখনোই নষ্ট করবো না ইত্যাদি।

নামাজ পড়বো এবং একই সাথে ঘুষ খাব, ওজনে কম দিব, ব্যবসায় অতিরিক্ত লাভ করার চেষ্টা করব, মিথ্যা কথা বলব, গীবত করবো ইত্যাদি হয়তো আল্লাহকে আমার প্রতি চরম বিরক্ত করে তুলবে এবং আল্লাহর কাছ থেকে আমাকে অনেক দূরে সরিয়ে দিবে এবং আমি সম্পূর্ণভাবে শয়তানের খপ্পরে পড়ে যাব।

আমাদের সকলকে বিষয়টি বুঝতে হবে যে, ‘মুক্তির একমাত্র পথ পাপ বর্জন শুধু সওয়াব অর্জন নয়।’ পাপ বর্জনই আমাকে এই জীবনে এবং পরজনমে শান্তি দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মবিশ্বাসই বাঁচার শক্তি
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে