ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে দেখা গেছে মীরসরাই উপজেলার সর্বত্র। বিকেল থেকে শুরু হয় তীব্র বাতাস। গেলো কয়েক বছরে বাতাসের এমন প্রবল গতির দেখা মেলেনি এই অঞ্চলে। দুপুর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয় মীরসরাই। ফলে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো উপজেলা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এতে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোমের আলো। অনেক স্থানে পাওয়া যায়নি
মোমবাতিও। মীরসরাই সদরেও মোমের সংকট দেখা দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। দমকা ঝড়ো বাতাসে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌর এলাকায় ব্যাপক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের ইসলামিয়া জেনারেল স্টোরে মোমবাতি কিনতে আসেন কিছমত জাফরাবাদের বাসিন্দা আজিজ আজহার। তিনি বলেন, ‘আশেপাশে কয়েকটি দোকানে মোমবাতি কিনতে গিয়ে পাইনি। সবশেষে এই দোকানে এসে পেয়েছি। তাও দোকানদার দুইটার বেশি বিক্রি করছেন না।’
উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমবাড়িয়ার বাসিন্দা মেহেরাব হোসেন তামিম জানান, এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগটা চোররা কাজে লাগাতে পারে। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে। মোমবাতি কতক্ষণ জ্বালিয়ে রাখা যায়।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–৩ এর মীরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমবাড়িয়া এলাকায় তার ছিঁড়ে রেললাইনের উপর পড়ে ছিল। আমি টিম নিয়ে গিয়ে তার সরিয়েছি। আমাদের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে এক শিশু গাছ ভেঙে পড়ে মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এর সমাধান করে সচল করা হবে সব।












