অন্তর্র্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে তারা ওঁৎ পেতে আছে : তারেক

| রবিবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির কর্মীসমর্থকরা বিভিন্ন কৌশলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সরকারকে একেবারে ব্যর্থ করে দিতে যে পলাতক স্বৈরাচার ছিল, তার দোসররা বসে নেই, সেটা দেশের ভেতরেই হোক বা বাইরে, প্রশাসনের ভেতরে হোক বা দেশের বাইরে, এরা কিন্তু ওঁৎ পেতে আছে যে কীভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়া যায়।

জনগণের চাওয়াপাওয়াকে গুরুত্ব দিলে সেই ষড়যন্ত্র সফল হবে না মন্তব্য করে তারেক বলেন, আমরা মনে করি, সরকারের সঙ্গে জনগণের আস্থা নিবিড় থাকলে তাদের ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণ যা চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সেগুলোকে অ্যাড্রেস করে, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ পাবে না, তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে ভিডিও কলে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। খবর বিডিনিউজের।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে গণতন্ত্র, উন্নয়ন কিংবা সমস্যা আমরা যাই বলছি না কেন, কোনোটাই টেকসই হবে না। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ভোট প্রয়োগের অধিকার। আজকে আপনারা (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা) কিন্তু ভোট প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করেছেন। একইভাবে জনগণ ভোট প্রয়োগের সুযোগ যদি না পায়, তাহলে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের যে সম্পর্কঅংশীদারত্ব সেই সম্পর্কঅংশীদারত্ব কিন্তু সৃষ্টি হয় না। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের এবার স্বচ্ছ পরিবেশে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে তারা আশা করছে। বিশ্বাসযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট আস্থা পেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে জনগণের আস্থার বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

গণআন্দোলনে আহতদের সম্প্রতি সড়কে নেমে বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আহতরা হাসপাতাল থেকে রাজপথে বেরিয়ে এসেছে, এটি সমগ্র দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত লজ্জার দৃশ্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, জুলাইআগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার লিস্টে নেই বা কত নম্বরে ছিল। এরপরও দেখেন, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার যে পদক্ষেপটি, যে কারণে সমাজের প্রতিটা মানুষ যেকোনো পর্যায়ের যেকোনো মানুষ, প্রত্যেকটি পরিবার যে কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এই বিষয়ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রায়োরিটি লিস্টের মধ্যে কত নম্বরে আছে? আমি সব সময় বলেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল কাজ হয়ত সবার কাছে সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা কিন্তু আমাদের সকলের ব্যর্থতা, গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, অপ্রাপ্তি থাকার পরও জনগণ কিন্তু এখনও এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে চায়, তারা আস্থা হারাতে চাইছে না। তবে একটা প্রশ্ন উঠছে, সরকার কি উল্টো জনগণের সঙ্গে আস্থা রাখতে চায়? কারণ জনগণের সঙ্গে সরকারের আস্থার সম্পর্ক নিবিড় থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করা যদি না যায়, তাহলে গণতন্ত্র, উন্নয়ন কিংবা সমস্যারআমরা যত যাই বলছি না কেনো কেনোটাই টেকসই হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুলাই-আগস্টের শহীদদের নামে হবে দুই শতাধিক স্টেডিয়াম : আসিফ
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ভর্তিতে ফিরছে লিখিত পরীক্ষা : উপাচার্য