বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সৈয়দ আহমদুল হকের আদর্শ অনুসরণ করার তাগিদ উঠে এসেছে চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর জামালখানে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ‘বাংলার রুমি’ খ্যাত সৈয়দ আহমদুল হকের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, পারসিয়ান রেনেসাঁর ধারক মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির চেতনা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে কাজ করেছেন সৈয়দ আহমদুল হক। ১৯৯২ সালে তিনি আল্লামা রুমি সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভ্রাতৃত্বই ছিল রুমির চেতনার মূল ভাবনা। রুমির ভাবনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ভালোবাসাই ছিল মূল ভিত্তি। রুমির দার্শনিক চেতনাকে রাষ্ট্রীয় চর্চার কেন্দ্রে আমরা আনতে পারিনি। পাশ্চাত্যের রেনেসাঁ এবং এর পথ ধরে আসা লিবারেলিজম ও এরপরের নিওলিবারেলিজম থেকে আস ধ্যানধারণা থেকেই আমাদের দেশ পরিচালিত হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
সেমিনারের সমাপনী বক্তা পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও আল্লামা রুমি সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মানব সভতা ততদিন পূর্ণতা পাবে না, যতদিন সবাইকে আমরা মানুষ হিসেবে ভালোবাসতে পারব না। সৈয়দ আহমদুল হক একজন পরিপূর্ণ মানুষ ও একজন আদর্শ বাবা ছিলেন। তার সান্নিধ্যে যারা এসেছেন তারা ধন্য হয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মুখ্য সচিব ও আল্লামা রুমি সোসাইটির সভাপতি মো. আবদুল করিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর এম এম নূরুল আবসার, আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও সৈয়দ আহমদুল হকের সন্তান সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, পাথরঘাটা ক্যাথিড্রাল চার্চ প্রধান ফাদার রিগান ডি’ কস্তা, দ্য সাউথ এশিয়া ফোরাম ফর ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অর রিলিফের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের বোর্ড মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার শুভ্র দেব কর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন। ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে বাংলার রুমি সৈয়দ আহমদুল হক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোশাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।