ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। নানামুখী আন্দোলন–সংগ্রাম ও নাশকতার মাধ্যমে সরকারের পথযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এরূপ নাশকতাকারীরা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। নাশকতাকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল বিকালে চারটার দিকে নগরের লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে। জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে প্রতিমাসেই কোন না কোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এ সময়ে সচিবালয় ঘেরাও করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর ও পাহাড়ি–বাঙালি সংঘাত উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এই সরকার ব্যর্থ হলে অমানিশা নেমে আসবে। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানান।
ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে উপদেষ্টা বলেন, তিনি অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী ও সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। মাদ্রাসার প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি এই জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ বিঘা জমি দান করে গেছেন। তিনি একাধারে গণিতবিদ, জ্যোর্তিবিদ ও বিশ্বতত্ত্ববিদ। গোটা পৃথিবী নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানে ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মদী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরল্লাহ নূরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।