অন্তর্বর্তী সরকারও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো জোর করে নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লি চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। খবর বাংলানিউজের।
আমীর খসরু বলেন, যাদের বলার কথা নয় তারাও কথা বলছে। ঐকমত্যের কথা বলে ১৪ মাস পর সনদ হলো। এখন তারা ভিন্ন কথা বলছে। তাদের এখতিয়ার নেই। যাদের যে কথা বলার এখতিয়ার নেই, তারা অসাংবিধানিক, বেআইনি কাজ করছে। শেখ হাসিনা যেমন সংবিধান, আইন মানতেন না, এখনো কিছু রাজনৈতিক দল সেই পথেই হাঁটছে।
খসরু বলেন, কেউ কেউ রাস্তায় নেমে নিজেদের সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। যারা এমনটি করছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে হাসিনামুক্ত করলেই হবে না, গণতন্ত্রও ফিরিয়ে আনতে হবে, বাঁচিয়ে আনতে হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা এখন চাকরি পাওয়ার ইন্টারভিউ দিচ্ছে, চাকরি দেবে জনগণ। সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল না আসা পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে করণীয় পরিকল্পনা তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতায় এলে বিএনপি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে। দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। দলের কঠিন সময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে তিনি বিএনপিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। এখন তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও সক্রিয় হতে হবে।












