পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। গতকাল শুক্রবার নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকায় কিশলয় কনভেনশন হলে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু আয়োজিত নব কমিটির অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি–ধর্ম–বর্ণ–গোষ্ঠী সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। খবর বাসসের।
তিনি বলেন, জ্ঞানেশ্রি ভান্তে, বড়ুয়া ভান্তে, মারমা ভান্তে সবাই আমাদের আলোকিত করেছেন। ভান্তেগণ বিনয়ের সঙ্গে চলেন। কখনো তাদের বিনয় ভঙ্গ হয় না। মানুষের মধ্যে সহিংসতা ও মারামারি কখনো কাম্য হতে পারে না।
উপদেষ্টা বলেন, গুজব ও উস্কানিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতা হয়ে গেল, যা দুঃখজনক। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি, সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সরকারি সহযোগিতা বিতরণ করেছি এবং এলাকার উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের কাছে আটটি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে প্রবারণা পূর্ণিমায় একদিন সরকারি ছুটি, বৌদ্ধ সরকারি চাকরিজীবীদের তীর্থভ্রমণ ছুটি, প্রত্যেক বিহারে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, ভিক্ষু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য চট্টগ্রামে সরকারি জমি বরাদ্দ দান উল্লেখযোগ্য। উপদেষ্টা দাবির বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনা হবে জানান।
অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন সভার সভাপতি অগগমহাপণ্ডিত অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, মহাসম্মেলনে নবনির্বাচিত মহাসচিব প্রজ্ঞাবারিধি অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপ সংঘ–নায়ক সদ্ধর্মরশ্মি রতনশ্রী মহাথের, বিভিন্ন এলাকার ভান্তে ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।