ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্তর্কলহে তাদের অপকর্ম প্রকাশ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। অবস্থা এমন হয়েছে যে বিরোধী দলের আর কিছুই বলতে হচ্ছে না, নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ্যে তুলে ধরছেন, বলেছেন তিনি। গতকাল শনিবার ঢাকার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় তরুণ পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বাবলু বলেন, সরকারি দলের এক সংসদ সদস্য তাদের এক শীর্ষ নেতাকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলেছেন। এক শীর্ষ নেতার পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রকাশ্যে এসেছে এই বিরোধ। তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে, জনগণের স্বার্থ নিয়ে ভাবনার সময় নেই তাদের। ক্ষমতাসীনদের বিরোধ সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করেছে বলেও মনে করেন তিনি।
বাবলু বলেন, দেশের মানুষ যতটা উন্নয়ন চায়, তার চেয়ে বেশি সুশাসন চায়। পদ্মা ব্রিজ আর ফ্লাইওভারের আগে সুশাসন চায় মানুষ। সুশাসন নিশ্চিত না হলে ওই ব্রিজ দিয়ে ১০টি হোন্ডায় ২০টি গুণ্ডা মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, এই দুটি দলের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা বেড়ে উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে সন্ত্রাস হচ্ছে, প্রার্থী খুন হচ্ছে। এমন নির্বাচন আমরা চাই না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকারের কাজ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন বিরোধীদলের এই নেতা। তিনি বলেন, দেশে ভ্যাকসিন এসেছে-এটা আনন্দের খবর। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের কোনো রোডম্যাপ নেই, কোনো নীতিমালা নেই। দেশের মানুষ জানতে চায়, কারা প্রথম ভ্যাকসিন পাবে, কীভাবে দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ টিকা বিনামূল্যে সবাইকে দেওয়ার দাবি জানান বাবলু। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
তরুণ পার্টির মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কেএম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভরায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, তরুণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মৃধা, সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান।