ফটিকছড়ির দাঁতমারা এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামী মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মহিউদ্দিনের পিতা মো. নুরু ও মা জরিনা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় মহিউদ্দিন কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মহিউদ্দিন ফটিকছড়ির দাঁতমারা এলাকার আলম মাস্টারের বাড়ির বাসিন্দা। ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মো. মহিউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তার মা ও বাবাকে খালাস দেয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন বিচারক।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অন্তঃসত্ত্বা সুমি আক্তারকে খুন করা হয়। যৌতুক চেয়ে না পেয়ে স্বামী মো. মহিউদ্দিন এ ঘটনা ঘটান। এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট সুমির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মহিউদ্দিনের পাশাপাশি তার মা ও বাবাকে আসামি করা হয়। আদালতসূত্র আরো জানায়, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মহিউদ্দিন এবং তার মা ও বাবার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পরের বছরের ৫ জানুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।