দীর্ঘ ১২ বছরেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিতব্য সিজেকেএস নির্বাচনকে ঘিরে দারুন প্রানচঞ্চল এখন স্টেডিয়াম অঙ্গন। বিভিন্ন ক্লাবের কাউন্সিলররাও এই নির্বাচনকে বেশ উপভোগ করছেন। প্রার্থীরা ঘুরছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সচরাচর চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যে সব পদে নির্বাচন হয় সে সব পদে পুরুষরাই প্রার্থী হয়। কারণ মহিলাদের জন্য দুটি সংরক্ষিত সদস্য পদ রয়েছে। সেখানে দুই এর অধিক প্রার্থী হলে মহিলাদের বেলায় নির্বাচন হয়। তবে এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মাত্র দু’জন প্রার্থী ছিল। ফলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে। তবে প্রথাগত ধারাকে পাশ কাটিয়ে এবারের নির্বাচনে ৪৮ জন পুরুষ প্রার্থীর সাথে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সাহেলা আবেদীন রিমা। তিনি অংশ নিচ্ছেন নির্বাহি সদস্য (সাধারণ) পদে। তার সাথে প্রার্থী রয়েছেন আরো ২৬ জন। গতকাল আদালতের রায়ে একজনের নির্বাচনের উপর নিষেধাজ্ঞা এসে গেছে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি আবেদীন ক্লাবের প্রতিনিধি তিনি। প্রথমবারের মত এই ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় এলেও তিনি ক্লাবটি পরিচালনা করছেন গত চার বছর ধরে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই দিকপাল মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং নুরুল আবেদীন নোবেল ক্রিকেটার হয়েছেন যে ক্লাবের সাথে শুরু করে সেই আবেদীন ক্লাবের প্রতিনিধি এখন রিমা। ঐতিহ্যবাহি আবেদীন পরিবারের বউ রিমা গত শেখ কামাল জাতীয় যুব গেমসেও একাধিক ইভেন্টে কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খেলাধুলার প্রতি দারুণ অনুরাগ থেকে তিনি শ্বশুড় বাড়ির ক্লাবটি নিয়ে এসেছেন ক্রীড়াঙ্গনে। আর তাই জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাহি সদস্য পদে নির্বাচন করে চট্টগ্রামের খেলাধুলার উন্নয়নে অবদান রাখতে চান দায়িত্বশীল ভূমিকা। রিমার এই নির্বাচনকে স্বাগত জানাচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলররাও।












