কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে লিওনেল মেসির হাত ধরে তৃতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাতিন আমেরিকাক দেশটি। কিন্তু মেসির দেশটিই কি না এর একমাস পর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। ২০২৩ সালে সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বেই আর্জেন্টিনা হয়েছে ৫ দলের মধ্যে চতুর্থ। ওই টুর্নামেন্টটি ছিল একই সঙ্গে অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জনের মঞ্চও। আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারায়। কিন্তু সেই আর্জেন্টিনাই এবার হুট করে ঢুকে পড়লো অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে। যারা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি তারা কিভাবে বিশ্বকাপে খেলবে ? মূলত আর্জেন্টিনাই এবার অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের আয়োজক। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে আলবিসেলেস্তারা। আবারও ফুটবল উৎসবে মাততে চলেছে আর্জেন্টিনা।
২০২৩ সালের অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মেসির দেশ আর্জেন্টিনাকে। ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল আয়োজক হিসাবে আর্জেন্টিনার নাম ঘোষণা করেছে। আগামী ২০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ২৪টি দেশকে নিয়ে হবে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটি। এবারের অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ ফুটবল হওয়ার কথা ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। কিন্তু ইসরায়েলকে নিয়ে সৃষ্ট সমস্যায় শেষ মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়ার আয়োজক মর্যাদা বাতিল করে ফিফা। সুযোগ কাজে লাগাতে এগিয়ে আসে আর্জেন্টিনা। দেশটির ফুটবল কর্তারা ফিফার কাছে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করার আবেদন জানায়। নানা আলোচনা–পর্যালোচনার ফিফা আর্জেন্টিনাকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে। আয়োজক হিসেবে খেলার কথা ছিল ইন্দোনেশিয়ার। কিন্তু ঘটনা উল্টে যাওয়ায় এখন অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে আয়োজক হিসেবে খেলবে আর্জেন্টিনাই। যোগ্যতা অর্জন না করেও এভাবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে মেসির দেশ।
