দক্ষিণ এশিয়ায় ছেলেদের বয়সভিত্তিক যে টুর্নামেন্টগুলো হয় তার মধ্যে তিনটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস আছে বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে সাফ অনূর্ধ্ব–১৬, ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব–১৫ ও এই বছর আগস্টে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা উদযাপন করেছে লাল–সবুজ জার্সিধারী যুবারা। অতৃপ্তি রয়ে গেছে সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে। এই একটি টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের শিরোপা নেই। যদিও ২০২২ সালে একবারই আয়োজন করা হয়েছিল বয়সভিত্তিক ফুটবলের অনূর্ধ্ব–১৭ ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতা। শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারতের কাছে ২–১ গোলে হেরে। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ উঠেছে ফাইনালে। আজ সোমবার ভুটানের থিম্পুতে সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশ ও ভারত এক গ্রুপে থাকায় দুই দলের দেখা হয়েছে একবার। গ্রুপ লড়াইয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল ভারতের কাছে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে। গত আগস্টে বাংলাদেশ সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পথে ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১–১ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে ৪–৩ গোলে হারিয়েছিল ভারতকে। আজ সোমবার কি করবেন অনূর্ধ্ব–১৭ দলের খেলোয়াড়রা সেটাই দেখার অপেক্ষা। ফাইনালের আগে বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু জানিয়েছেন এই ম্যাচে ভারত অবশ্যই ফেবারিট। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি আমার দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তারা। এই জয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সবকিছু আমাদের পরিকল্পনামতোই ছিল। তবে ৯০ মিনিটের পর গোল খেয়ে আমরা হেরেছিলাম। এ ম্যাচে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। এটা ফাইনাল ম্যাচ সবাই চাইবে সেরাটা দিতে। আমরা যেমন চাইবো তেমনি ভারতও চাইবে। আমার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তবে এটা কঠিন কাজ।