অনুমোদন পেল চট্টগ্রাম ডেন্টাল কলেজ

নিয়োগ হবে আরও ৬৫০ দাঁতের চিকিৎসক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| সোমবার , ২১ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

দেশে দাঁতের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে সাড়ে ছয়শ ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব ওরাল
হেলথ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুটি ডেন্টাল কলেজ এবং দেশে একটি ডেন্টাল ইন্সটিটিউট স্থাপনের কথাও বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর ফলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট পৃথক হচ্ছে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
‘চট্টগ্রাম ডেন্টাল কলেজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে চট্টেশ্বরী সড়কে চমেক হোস্টেলের পাশে গোঁয়াছি বাগান এলাকায় স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। এই এলাকার ৩ একর জায়গা জুড়ে কলেজটি স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে সেখানে ডিজিটাল সার্ভে পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, পুর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি দল এসে স্থান পরিদর্শন করে গেছেন। প্রায় ৩ একর জায়গা রয়েছে সেখানে। যেহেতু পাহাড়ি এলাকা, সবকিছু পর্যালোচনা করে ডেন্টাল কলেজটি স্থাপন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা হলে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে সহজেই দাঁত ও মুখগহ্বরের রোগের সব ধরনের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে জানান চমেক অধ্যক্ষ।
ডেন্টাল সার্জনদের ৬৫০টি পদ সৃষ্ট করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এসব পদে নিয়োগ করা হবে। উপজেলা হাসপাতালে একজন মাত্র ডেন্টাল সার্জন রয়েছেন। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করেন। সেখানে এত মানুষকে সেবা দেওয়া দুষ্কর। জনবল ও যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করব।
জাহিদ মালেক বলেন, মানুষের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মুখ ও দাঁত। কিন্তু সব ধরনের চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ হলেও দাঁতের চিকিৎসা নিয়ে মানুষ অবহেলা করে। দাঁতের কী মর্ম সেটি আমরা বুঝি না। কিন্তু দাঁতে ব্যাথা হলেই দাঁতের মর্ম বুঝা যায়। আমরা দাঁত নিয়ে সচেতন নই। পরিস্কার রাখি না, নিয়মিত ব্রাশ করি না। ডেন্টাল চিকিৎসক যারা আছেন, তারা মানুষকে অবশ্যই দাঁতের গুরুত্ব তুলে ধরবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভুট্টো বললেন সব ঠিক হয়ে যাবে
পরবর্তী নিবন্ধকথাসাহিত্যিক দিলারা হাশেমের জীবনাবসান