চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি সহ দেশে আরও ১৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুমতি পাওয়া এসব ব্যবসায়ী ৩৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেলেও এখনও কোনো চাল আমদানির এলসি খোলেননি তারা। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও গত এক সপ্তাহ আগের বর্ধিত দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমদানির অনুমতিপ্রাপ্ত মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স ১০ হাজার টন, মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স ৫ হাজার টন, মেসার্স নবাব ফুড প্রোডাক্টস ১০ হাজার টন এবং মেসার্স নজরুল সুপার রাইস মিল ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কেউই বিভিন্ন অজুহাতে চাল আমদানি করছেনা।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা ৫ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরো চাল বাজারজাত করতে হবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ১০-৫০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল এনে বাজারজাত করতে হবে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা এখনও চাল আমদানির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেননা।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, তিনি অনুমতি পাওয়ার পর ভারতে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন ভারতের বাজারে বস্তাপ্রতি ২৮ জাতের চালের দাম ২১শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪শ’ টাকায়। এছাড়া ভারতে চাল আমদানির অর্ডার দেওয়া হলে ট্রাফিক জামের কারণে সে চাল আসতে আরও ১৫ দিন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি এখনও চাল আমদানি শুরু করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে লাগামহীন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৩ জানুয়ারি ১ লাখ ৫ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এবং পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি সহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।