সবুজ ঘাস দেখে চমকিত হওয়া অথবা ট্রেনের পাশে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের শেষ যাত্রা। নিজেকে সেজো নিচ্ছো তুমি মনের আয়নায়, পাঁজাকোলো করে নিচ্ছে বৈকালিক বাতাস। হিমালয়ের পাদদেশে ওঠা অভিযাত্রীদের ন্যায় হৃদস্পন্দনে আমরা দু‘জনেই তখন দন্ডায়মান যুগল ঈগল। এক লহমায় ঢুকে পড়তে হয় তোমার মনের জিঞ্জিরায়, সেখানে পাহারায় তোমার টুকিটাকি সংসার, এলাচিময় ভোরবেলা বাতাস তোমায় ডেকে নিচ্ছে খুব ধীরে। এখন সমুদ্র আকাশ মিতালী বহুদূরের হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো সেই স্মৃতিময় বিকেলগল্পগুলো ফিরিয়ে আনছে সযতন প্রয়াসে। সুগোল সুগোল রেখা তোমার। কালিপ্রেতে যা ফুটে থাকে। ফুটন্ত গোলাপের কলিজা ছেঁড়া সৌন্দর্য দ্রাঘিমা রেখা বরাবর তুমি হেঁটে চলে যাও অনন্তের বরাবর। ফুটে থাকা ফুল, মহুয়া বাতাস এরাই এখন আমার আপনজন।
বাসন্তিক একটা শাড়ি– বাসন্তিক একটা মন– পুড়ে গিয়ে হাওয়া হয়ে গেল– এত যে শুকনো হাওয়ারা। তড়িঘড়ি করে কোথায় আমায় নিয়ে যেতো চাই বলো? তারচেয়ে ভালো শুকনো ডালায় পাতায় মনটা পড়ুক।