অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত হলে অখুশি হওয়ার কিছু নেই

শেখ কামাল আইসিটি পার্ক পরিদর্শনকালে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

আয় বৃদ্ধিতে নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে গতকাল এফআইডিসি রোডে সাড়ে ১১ একর জায়গায় বাস্তবায়নাধীন শেখ কামাল আইসিটি পার্ক প্রকল্প পরিদর্শন করেন মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, কর্পোরেশনের সেবাখাতকে আরো বেশি আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করে তুলতে হবে। সেবার মান ও পরিধি আরো বাড়াতে হবে। এসব খরচ মেটাতে কর্পোরেশনের আয়ের নিজস্ব খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। নগরবাসীর সেবার খরচ মেটাতে কেবলমাত্র কর ও সরকারি বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল হলে হবে না। চসিকের নিজস্ব আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। বেশ কিছু খাত সৃষ্টি করে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। এসব খাত থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়েই তিনি সফলভাবে নগরীর উন্নয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন গণমানুষের প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হতে হবে সম্পূর্ণ গণমূখী। সকল সাবেক মেয়র ও প্রশাসকের আমলে নেয়া গণমুখী প্রকল্পসমূহকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি। কর্পোরেশনের আয় বাড়াতে নিকট অতীতে কিছু কিছু কাজ ও বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে। এসব বিষয় জনসাধারণের নিকট পরিষ্কার হওয়া দরকার। এখানে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে নির্দিষ্ট কমিটি তদন্ত করবে। অভিযোগ যদি সত্য হয় তা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি ভিত্তিহীন হলে তদন্ত কমিটি তাও পরিষ্কার করবে। তাই, তদন্ত হলে কারো অখুশী হওয়ার কিছু নেই।
মেয়র বলেন, চসিকের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটি আরো শক্তিশালী হোক এটা কেবল আমার নয়, নগরবাসীরও চাওয়া। তিনি বলেন, আমি লোক দেখানো উন্নয়ন চাই না, পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন চাই।
প্রকল্প পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, হাজী নুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী , এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, শাহীন-উল-ইসলাম, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাপানের ‘রাইজিং সান’ সম্মাননা পাচ্ছেন মতিউর রহমান
পরবর্তী নিবন্ধএম এ সালাম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার