নিশ্চিত–অনিশ্চিতের ফারাক খোঁজার সময় এটা নয়,
জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সেই মনের ভেতর হা–হুতাস।
অবাধ্য স্মৃতির টান, পুকুরের জলে ঘাই মারা মাছ যেন
হুশ করে ওঠে আর বুদবুদ ছড়ায়; অনুভবে দীর্ঘশ্বাস।
মানুষের সাথে মানুষ সঙ্গ–অনুষঙ্গে চলমান সাযুজ্যে
মমতায়, ভালোবাসায়, কোমলে–সারল্যে প্রীতিময় সময়,
ঘুম–স্বপ্নে মৃত্যু–স্বপ্নে আলো–আঁধারিতে সব কুয়াশাময়
একি মৃত্যুর হাতছানি? নাকি মৃত্যু–উপলব্ধি! স্নায়ু–ভ্রম।
চেতনায় ভাসে নানা স্মৃতিকথা, বাস্তবটা যে দুঃসময়।
চতুর্দিকে ভয়াবহ ক্ষয়, জীবন–জীবিকায় ক্ষয়ের স্রোত,
মন ও সম্পদের ক্ষয়, তাসের ঘরের মতো অচেনা এক
সুনামির মতো তাণ্ডব ভাঙ্গন, ভাঙ্গনেই ক্ষয়, উৎসমুখ
খুঁজতে খুঁজতে কিছুই মিলে না,অজানা শংকার স্রোত
রাত্রির অন্ধকারে। কিন্তু আলো জ্বলে আকাশের ছাদে
আ–আহারে দরদিয়া, ‘জীবন এ্যাতো ছোটো ক্যানে।’