দফায দফায় বৈঠকের মাধ্যমে মালিক শ্রমিক সমঝোতার চেষ্টা সফল না হওয়ায় দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে কয়েক দফা বৈঠক এবং আলাপআলোচনা হলেও রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সমঝোতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
খোরাকি ভাতার দাবিতে আহূত দেশব্যাপী নৌযান ধর্নঘটের কর্মসূচি থেকে সরিয়ে এনে জাহাজ মালিক এবং শ্রমিকদের সমঝোতার জন্য গতকাল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে সিরিজ বৈঠক হয়। বৈঠক শ্রম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, ডিজি শিপিংসহ বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা জাহাজ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা খোরাকি ভাতার দাবি মানা না হলে জাহাজ পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানান। নানাভাবে তাদের বুঝানো হলেও তারা দাবিতে অনড় থাকেন। এর আগে জাহাজ মালিকদের সাথেও একই স্থানে বৈঠক হয়। তাতে খোরাকি ভাতার পুরোটা না হলে কিছুটা হলেও মেনে নেয়ার ব্যাপারে জাহাজ মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু মালিকেরা করোনাকালে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে উঠেছে বলে জানিয়ে এসব দাবিদাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরবর্তীতে শ্রমিক নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন কিছু হলেও করার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের এই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলা হয় এখন কিছু করার কোনো সুযোগ নেই। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শ্রমিক নেতারা বৈঠক স্থল ত্যাগ করে চলে যান। একই সাথে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়।
লাইটারেজ শ্রমিক নেতা সৈয়দ শাহাদাত হোসেন বৈঠকে কোনো সুরাহা না হওয়ার কথা স্বীকার করে রাত একটায় দৈনিক আজাদীকে জানান, আমরা অনেক ছাড় দিয়েছলাম। চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মালিকপক্ষের কারণে আমাদের ধর্নঘটে যেতে হলো। আমরা গত বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের দাবি জানিয়ে আসছি। নানা কর্মসূচি পালন করেছি। আল্টিমেটাম দিয়েছি। শেষপর্যন্ত আমরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হলাম।