অনাগত প্রজন্মকে নিয়ে

শরণংকর বড়ুয়া | বুধবার , ৬ জুলাই, ২০২২ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

এই ডিজিটাল যুগে মোবাইল আশীর্বাদ আবার অন্য দিকে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্তানেরা রাত জেগে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। মোবাইল এবং টাওয়ার থেকে যে রেডিয়েশন সৃষ্টি হয় তা মানব দেহে বিশেষ করে চোখ কান এবং হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক তা জেনেও কখনো কেউ বুঝতে চায় না। মোবাইল হচ্ছে সময় এবং বিপদের বন্ধু অতি প্রয়োজনীয় তবে সীমিত ব্যবহার নিজেদের জন্য মঙ্গলজনক। অহেতুক মোবাইল নিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত ছেলে মেয়েরা। ঐ মোবাইলে ভালো দিক যতটুকু এর চেয়ে খারাপ বেশী। খারাপটা গ্রহণ করে সহজে। হর হামেশা একে অপরকে টিপপনি, ফেইস বুকে মিথ্যে ভিডিও এবং স্ট্যাটাস দিয়ে দেশ বা সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করা এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা উন্নত দেশের কথা ভাবলে হবে না, উন্নত মানসিকতার খুব প্রয়োজন। সুশিক্ষা, সুচিন্তা, সুন্দর আচরণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নিয়মানুবর্তিতা এই সব না থাকলে কখনো আমরা গর্ব করার মত বলা যাবে না। উশৃঙ্খলতার চরমে বহু যুব সমাজ এই নিয়ে অভিভাবকরাও খুব চিন্তিত। কোথাও কোথাও কথিত বড় ভাইদের ইশারায় গড়ে উঠা কিশোর গ্যাং শহর এবং গ্রামে খারাপ কাজে নেমে পড়েছে। তাদের চিন্তা চেতনা শুধু আমি অন্যের চেয়ে বড় এই অহংকারে তলিয়ে যাচ্ছে প্রজন্ম। ভাবছে না মোটেও নিজেদের ভবিষ্যৎ আগামীতে পরিনাম কী হবে। আস্তে আস্তে জীবনের সীমিত সময় থেকে দিনগুলো বেরিয়ে সুন্দর স্বপ্নগুলো নিয়ে যাচ্ছে সকলের অগোচরে। সব কিছু থেকেও যেন মাঝিহীন নৌকার মত সাগরে ভাসছে প্রগতিশীল, দেশ উন্নয়নের কাণ্ডারী, অগ্রগামী যুব সমাজ। দেশ তোমাদের খোঁজছে এই ভাবনা সকলের মাথায় আসতে হবে। মনে রাখতে হবে সুখের সময় সকলেই সঙ্গে থাকে কিন্তু দুঃখের সময় কেউ সঙ্গে থাকে না। তাই এখনই ভাববার সময়। সাধারণত আমি ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী। সময় এবং উশৃঙ্খলতার প্রতি দৃষ্টি রেখে যদি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে বা এগিয়ে যায় তাহলে শঙ্কামুক্ত হবে সমাজ তথা অভিভাবকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্রদ্ধাঞ্জলি
পরবর্তী নিবন্ধক্ষণজন্মা পুরুষ অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ