অনলাইন নিলামের তিন মাস পর বিক্রয় আদেশ

চট্টগ্রাম কাস্টমস

জাহেদুল কবির | সোমবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে অটোমেশনের অংশ হিসেবে তিন বছর আগে অনলাইন নিলাম (অকশন) চালু করা হয়। এই তিন বছরে নিলাম হয়েছে মাত্র ছয়টি। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরনের ২৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। এতে মাত্র ১২ জন বিডার (নিলামে অংশগ্রহণকারী) ২০টি লটে অনলাইনে দরপত্র জমা দেন। তিন মাস পর অবশেষে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গতকাল ৭ লট পণ্যের অনুমোদন দেয়। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাকি ১৩ লটের অনুমোদন দেয়া হয়নি।

অনলাইনের নিলামে অনুমোদন দিতে ৩ মাস বিলম্ব হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিডাররা। তারা বলছেন, অকশনের মাধ্যমে পণ্য নিলামের তোলা হচ্ছে, যাতে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে দ্রুত পণ্য বিক্রির আদেশ দেয়া যায়। অথচ চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা অনলাইনে নিলাম করার পরেও মাত্র ৭ লট পণ্যের অনুমোদন দিতে ৩ মাস সময়ক্ষেপণ করেছেন, যা অস্বাভাবিক।

শাহেদ কাদেরী নামে এক বিডার জানান, অকশন নিয়ে অনেক বিডারের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই ভয়ে অনেকে ইঅকশনে অংশ নিতে চান না। এছাড়া ইঅকশনে দরপত্র জমা দেয়ার পরেও দেখা গেছে, ঘুরেফিরে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বাকি কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। তাই আমরা ইঅকশনের কোনো ধরনের সুফল পাচ্ছি না।

জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিলামে ২৩ লট পণ্যের মধ্যে ছিল ৮২৬ পিস খালি এলপিজি সিলিন্ডার, ১৮৭ কার্টন ইলাস্টিক ব্যান্ড, ১১ হাজার ৮৯০ পিস প্লাস্টিক শিট, ১০ প্যাকেট গ্লাস বিডস, ৪৪০ কেজি থিয়ানশি লিপিড মেটাবলিক টি, ২১৭ কেজি রেজুভেনাশন ক্যাপসুল, ৬৬ কেজি গ্র্যাপ ক্যাপসুল, ৬০৪ রোল ফেব্রিক্স, ১১ রোল ফ্লিচ ফেব্রিক্স, ৪৩ কার্টন প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ১১,১১০ পিস টপ হ্যাঙ্গার, ১০১০ কেজি কটন কটন ড্রকর্ড, ৯৮ রোল কটন ফেব্রিক্স, ১২০ রোল ওভেন ফেব্রিক্স, ১০২ জোড়া জুতা, ৮০ রোল গাম টেপ, ৬৬,১৮০ পিস ম্যানস পোলো টিশার্ট, ১৫,৮৯৪ পিস স্টোন টাইলস, ২৪৮ পিস নতুন ক্যাপিটাল মেশিনারি, ২৩০৪ পিস প্লাস্টিক ব্লক, ২২৭ বক্স ম্যানস পোলার ফ্লিচ জ্যাকেট ও ১৭,১৯০ পিস ম্যানস শর্ট।

নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন ধরনের ১৬ লট পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ইঅকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়।

দেরিতে অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি আজাদীকে বলেন, অকশনে কিছু পণ্য অনুমোদনের ক্ষেত্রে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতামত চেয়েছিলাম। কিন্তু মতামত আসতে দেরি হওয়ায় আমরা যথাসময়ে পণ্যের বিক্রয় আদেশ দিতে পারিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে স্বাভাবিক সড়ক-মহাসড়ক
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা