চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনলাইন জুয়ায় আসক্তির কারণে ঋণের দায়ে মামা-ভাগিনার ঝগড়ার সুত্র ধরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা স্বজনদের।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরে বটতলী স্টেশনে ডাঃ মাহমুদুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহতের নাম পিপুল দে (২৭)। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনগর ইউনিয়নের জগদিশ দে এর পুত্র। তিনি ইউনাইটেড কনজুমান প্রোডাক্ট নামক একটি কোম্পানিতে লোহাগাড়া মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদরে বটতলী স্টেশনে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের পার্শ্বে ডাঃ মাহমুদুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসায় থাকত পিপুল দে। কিছুদিন ধরে মোবাইলে অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। বিষয়টি তার মামা জানতে পেরে মামা-ভাগিনার ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। শুক্রবার রাতেও তার ভাগিনাকে মামা বকাঝকা করে। এরই জের ধরে ওইদিন রাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
নিহতের মামা নিখিল দে দৈনিক আজাদীকে বলেন, তার ভাগিনা পিপুল দে কিছুদিন ধরে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। গতকাল রাতেও তাকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করে বকাঝকা করি। সকালে তাকে অনেকবার কল দিলে রিসিভ না করায় পরে বাসায় গিয়ে দেখি রুমে ভিতর থেকে বন্ধ, কোন সাড়াশব্দ নেই। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশকে খবর দিলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ভাগিনার লাশ দেখতে পায়।
নিহতের বাবা জগদিশ দে দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার ছেলে কিছুদিন যাবৎ তার মামার সাথে থাকে। মামার সাথে তাঁর ঝগড়াঝাঁটি হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে। মনেহচ্ছে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে সে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলি নোমান, লোহাগাড়া থানার ওসি মোঃ রাশেদুল ইসলাম, এসআই পারভেজ।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদী জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।